চট্টগ্রাম নগরীর সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ‘বাকলিয়া ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক’র বৈধ ব্যবসা দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার বিরুদ্ধে।
গত রবিবার দেশীয় অস্ত্রসহ প্রায় সাড়ে তিনশো জন সন্ত্রাসী ওই এলাকায় গিয়ে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তারিকুর রহমান খাঁন গত সোমবার (৭ অক্টোবর) অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাকলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেন। যার জিডি নং- ৩৪০
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী তারিকুর রহমান খাঁন (৩৯) একজন ডিশ ব্যবসায়ী। বিবাদীগণও ডিশ ব্যবসায়ীর সাথে জড়িত। গত ৬ অক্টোবর সকাল ১১টায় সৈয়দ শাহ রোড নামক স্থানে বিবাদী এমদাদুল হক বাদশা (৫০), হাসান নেওয়াজ খান (৫৬) এবং ইকবাল হোসেন ময়না (৫৫) সঙ্গে ব্যবসায়ীক পূর্বশত্রতার জের ধরে তারিকুর রহমান খানের কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জানে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডাইরী করি।
-
মধ্যরাতে যুবদল নেতা বাদশার বাসায় গোপন বৈঠক হয়। পরদিন সকালে প্রায় সাড়ে তিনশো জন সন্ত্রাসী ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এসময় আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি- ভুক্তভোগী তারেকুর রহমান
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এমদাদুল হক বাদশা নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার আগের দিন রাত ১২টার দিকে তার বাসায় গোপন বৈঠক হয়। সেখান থেকে ডিশ ব্যবসা দখলের নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
পরদিন ৬ অক্টোবর সকাল ১১টায় হাসান নেওয়াজ খান, ইকবাল হোসেন ময়না, আমীর নেওয়াজ খান এবং মুরাদ সহ দেশীয় অস্ত্রসহ প্রায় সাড়ে তিনশো জন সন্ত্রাসী ওই এলাকায় গিয়ে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়। দখলবাজীতে যুবদল নেতার বাদশার আপন ভাই সাদ্দাম ও জাবেদ সরাসরি অংশগ্রহণ করে। এসময় তারা পূর্বের সমস্ত রাইন বন্ধ করে দিয়ে তাদের নতুন লাইন চালু করে বলে জানা যায়।
এসময় ভুক্তভোগী ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চাইলে বাকলিয়া থানার একটি টিম ঘটনাস্থল আসে। তার আগেই সন্ত্রাসীরা সরে যায়। পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ পায়।
-
আমি ডিশ ব্যবসা দখলের সঙ্গে কোন ভাবেই যুক্ত নই। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্য। আমি রাজনীতি করি, আমাকে বিতর্কিত করতে এসব করা হচ্ছে-এমদাদুল হক বাদশা
ভুক্তভোগী তারিকুর রহমান খাঁন জানান, আমি দীর্ঘদিন বৈধভাবে সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ডিশ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমি নিয়মিতভাবে সরকারের ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান করি। গত রবিবার বাদশার নেতৃত্বে তার ভাই সাদ্দাম ও জাবেদ সহ প্রায় সাড়ে ৩০০ জন অস্ত্রধারী আমার বৈধ ডিশ লাইন ব্যবসা দখলে নেয়। এমনকি আমার অফিসে গিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এলাকায় না আসতে জানিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, আমি রাজনীতি করার কারণে অনেকেই আমাকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। এজন্য আমার বিরুদ্ধে এসব প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমি ডিশ ব্যবসা দখলের সঙ্গে কোন ভাবেই যুক্ত নই। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্য।