ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪

দুদকের মামলায় ৭০ শতাংশ অপরাধী শাস্তি পেয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৭০ শতাংশ মামলায় অপরাধীকে শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটির কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, এখন দুর্নীতিবাজরা এমন এক আতঙ্কে রয়েছেন যে, তারা যেকোনো সময় ধরা পড়বেন ও শাস্তির সম্মুখীন হবেন। আগে বলা হতো দুদক শুধুমাত্র চুনোপুটিদের নিয়ে কাজ করে, রুই-কাতলা ধরে না। এখন কিন্তু সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেলে আছেন।

তিনি বলেন, যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসেবেই থাকবেন। মামলার বিচার থেকে কোনো পরিত্রাণ নেই। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জীবিত থাকা পর্যন্ত কোনমতেই ছাড় দেওয়া হবে। যদি তিনি মারাও যান তার সাথে দুর্নীতির সহযোগী যারা থাকবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাজ থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে হবে উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জিরো টলারেন্স টু করাপশন। এটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট। আমরা যদি এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি, তাহলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো টলারেন্সের নীতিতে সফল না হব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অবিরত ও শক্ত হাতে চলবে। আমরা কখনও পিছপা হব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুদক ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এখন দুদকের আকার ও সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্নীতিকে আমলে নেওয়ার ও বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। দুদকের ৭০ শতাংশ মামলায় শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’

দুদকের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল বলেন, ‘আজ সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা শুনব। জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিয়ে রাষ্ট্র নিয়োগ দিয়েছে। সেই সেবা পেতে অনৈতিকভাবে, অযৌক্তিকভাবে কেউ যদি কোনো ধরনের কষ্টের শিকার হন, তাহলে সেই বিষয়টি শোনার জন্য আজকের এই গণশুনানি। গণশুনানিতে আজকে যদি কোনো কর্মকর্তা প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেন, তাহলে এই অভিযোগ সরাসরি দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলাও হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) এ কে এম সোহেল, দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।