ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রাম ৯ আসনে ডা. ফজলুল হককে বিজয়ী করে ঘরে ফিরবে শ্রমিক জনতা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণ ও জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপোষহীনভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, জামায়াত জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার, সাংবিধানিক সংস্কার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমানতালে লড়াই করছে। আমরা কোনোভাবে বিচার ও সংস্কার অসমাপ্ত রেখে আপামর জনতার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে নির্বাচন চাই না। তবে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন যেন সমানগতিতে এগিয়ে যায় সেই লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ৯ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হকের সাথে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হক।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম, ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর আইন সম্পাদক সাব্বির আহমদ উসমানী,সহ প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম মানিক,শ্রমিক কল্যাণ বাকলিয়া থানা সভাপতি আজিজুল হক, চকবাজার থানা সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ডবলমুরিং থানা সভাপতি আকরাম হোসেন জিহাদ, সিএনজি অটোরিকশা সেক্টরের সভাপতি বশির আহমদ, হালকা মোটরযান এর সভাপতি কামাল উদ্দিন সহ ৯ সংসদীয় এলাকার নেতৃবৃন্দ।

ফয়সাল মুহাম্মদ ইঊনুস বলেন, আগামীর নির্বাচন দেশ ও জাতির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে সৎ, দক্ষ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন নেতৃত্বকে বিজয়ী করতে হবে। জুলাইয়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে যেভাবে শ্রমিক জনতা ঐক্যবদ্ধ লড়াই করে ফ্যাসিস্টের পতন করছে ঠিক একইভাবে আগামী নির্বাচনে শ্রমিকদের লড়াই করতে হবে।‌

আমরা প্রত্যাশা করছি, চট্টগ্রাম ৯ আসনে ডা. একেএম ফজলুর রহমানকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরবে এই আসনের সর্বস্তরের শ্রমিক জনতা।

তিনি বলেন, আমাদের কথা সুস্পষ্ট। আমরা আর অতীতের নোংরা রাজনীতিতে ফিরতে চাই না। সরকারের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাস করে দেশবাসীকে জিম্মি করার পুনরাবৃত্তি চাই না। দখলবাজী, টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজী থেকে এই জনপদকে রক্ষা করার জন্য আমরা মাঠে আছি। আমাদের প্রার্থী একজন সজ্জ্বন ও সুশিক্ষিত রাজনীতিবিদ।

একই সাথে তিনি সমাজ সংস্কারক ও সমাজসেবক। তিনি সাধারণ মানুষের সেবার জন্য সমগ্র জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি শুধু মানুষের সেবা করে গেছেন বিনিময়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী অথবা সরকার থেকে কোনো সুবিধা গ্রহণ করেননি। এমন অমায়িক ও মানবিক প্রার্থী আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।

ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস আরও বলেন, আমাদের প্রধান করণীয় হচ্ছে, সর্বস্তরের শ্রমিক জনতার কাছে ফজলুর রহমান সালাম পৌঁছানো। এই আসনের ভোটারদের বোঝানো কথার ফুলঝুড়ি নয় কাজ ও কর্ম দেখে ভোট দিতে হবে। আগামীর ভোট হবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে।

জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হক বলেন, আমাদের সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলেছে। মৌলিক মানবাধিকার কথা বলেছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তা প্রতক্ষ্য করি না। আমরা প্রতিটা মানুষের মৌলিক অধিকার, মানবিক মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে চাই।

আমি সকল মানুষকে একই চোখে দেখতে চাই। ধনী ও গরিবের মাঝে বিভেদ করতে চাই না। এমন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে আমার কাছে সমান গুরুত্ব পাবে।

তিনি বলেন, আমি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য অতীতে যেভাবে কাজ করেছি, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনেও একইভাবে কাজ করে যেতে চাই। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য চিকিৎসা, বাসস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের সকল নাগরিক সুবিধা বুঝিয়ে দিতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সততা ও দক্ষতার বিকল্প নেই। দেশপ্রেম ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদেরকে আপোষহীন নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে।

আমরা বিশ্বাস করি, এই আসনে যারা প্রার্থী হবেন, আমাদের ডা. ফজলু ভাই যোগ্যতা দক্ষতা ও সততার প্রশ্নে সবার সেরা প্রার্থী। এমন একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে পুরো ময়দান চষে বেড়াতে হবে।

প্রতিটি দুয়ারে দুয়ারে ডা. ফজলু ভাইয়ের চিন্তা চেতনা ও কর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরতে হবে। আশাকরি, আগামীর নির্বাচন মার্কা দেখে নয়, প্রার্থী দেখে হবে। এবং সেই নির্বাচনে ডা. ফজলু ভাই বিজয়ী হবেন, ইনশাআল্লাহ।