ই-পেপার | শনিবার , ১২ জুলাই, ২০২৫

স্বাস্থ্যসেবাকে বিতর্কিত করতে হাসপাতালে অভিযানের নামে হয়রানি

  • অভিযানের নামে হয়রানির কারণে চট্টগ্রাম প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ সভা
  • আকস্মিক অভিযানে ব্যাহত হতে পারে কোভিড, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়ার চিকিৎসা সেবা
  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে নিয়মিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালানো উচিত মনে করে অ্যাসোসিয়েশন

স্বাস্থ্যসেবাকে বিতর্কিত করতে কয়েকটি সরকারি সংস্থার আকস্মিক মোবাইল কোর্টের নামে চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে রোগী ও সেবাপ্রার্থীর সামনে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে নগরীর জিইসি মোড়ে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ প্রতিবাদ জানান অ্যাসোসিয়েশনের নের্তৃবৃন্দ।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মোত্তালিবের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. এ টি এম রেজাউল করিম, ইঞ্জিনিয়ার এস এম লোকমান কবির, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ডা. সুভাস চন্দ্র সূত্রধর, অফিস সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ আনসারী প্রমুখ।

সভায় বক্তরা বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও দৃঢ়তায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং বেসরকারি ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশন জনগণকে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে স্বদেশমুখী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

কিন্তু হঠাৎ করে স্বাস্থ্যসেবাকে বিতর্কিত করার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে গত ৮ জুলাই কয়েকটি সরকারি সংস্থার আকস্মিক মোবাইল কোর্টের নামে চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে রোগী ও সেবাপ্রার্থীর সামনে হয়রানি করা হয়। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

বিগত সরকারের আমলে অভিযান পরিচালনার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মিডিয়ায় প্রচার করে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে মালিক সমিতি চিকিৎসা সেবা বন্ধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

পরবর্তীতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন ও মালিক সমিতি যৌথ ঘোষণায় অভিযান পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি এবং মালিক সমিতির প্রতিনিধি নিয়েই উক্ত অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে কোভিড, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া সহ নানা মহামারী আক্রান্ত রোগী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই এই মুহুর্তে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হতে পারে।

অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নেতৃত্বে সিভিল সার্জন এবং বেসরকারি ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নিয়েই নিয়মিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালানো উচিত। তাই এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।