ই-পেপার | শুক্রবার , ৪ জুলাই, ২০২৫

জুলাই স্মরণে চবি অ্যালামনাইয়ের দোয়া মাহফিল ১৮ জুলাই ঈদ পুনর্মিলনী ৮ আগস্ট

জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে ও আহতদের আরোগ্য কামনায় আগামী ১৮ জুলাই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি ঈদ পুনর্মিলনী পিছিয়ে ৮ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।

নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিবেন বিভিন্ন ব্যাচের কয়েক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আয়োজকরা বলছেন, এটি শুধু একটি উৎসব নয়, বরং প্রাক্তনদের ঐক্য ও চেতনার একটি প্রতীকী মিলনমেলা।

আজ মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. আসলাম চৌধুরী এফসিএ।

সংবাদ সম্মেলনে মো. আসলাম চৌধুরী বলেন,
আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নানা কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিভক্তি, মতানৈক্য ও বিভ্রান্তির চোরাবালিতে পড়ে আমাদের সম্মিলিত সম্ভাবনা থমকে গিয়েছিল।

কিন্তু সময় এখন এক হওয়ার, গ্লানি ও বিভেদ ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। এই বিশ্বাস থেকে সর্বস্তরের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমি সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবকে অটুট রাখতে হলে বিভাজন নয়, প্রয়োজন ঐক্য।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, একটি অদৃশ্য চক্র এখনো বিভাজনের কূটকৌশলে লিপ্ত। তারা চায় না আমরা এক হই, তারা চায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা একটি শক্তিশালী, সার্বজনীন ও কার্যকর সংগঠনে পরিণত হোক। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। আমাদের স্লোগান “ঐক্যই শক্তি, বিভাজন নয়।”

এবারের ঈদ পুনর্মিলনীতে সব ব্যাচ ও বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বৃহৎ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিকে আমাদের অনুষ্ঠানের তারিখ ৪ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বৃহৎ ঐক্য ও সবার অংশগ্রহণের স্বার্থে অনুষ্ঠানের তারিখ ৮ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে আগামী ১৮ জুলাই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে এই মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুনর্মিলনী উপলক্ষে মোহাম্মদ একরামুল করিমকে আহ্বায়ক ও কামরুল হাসান হারুনকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্যের একটি উদযাপন পরিষদ গঠিত হয়েছে।

কমিটির অধীনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা, রেজিস্ট্রেশন, অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া, শৃঙ্খলা, অর্থ ও র‌্যাফেল ড্রসহ মোট নয়টি উপ-কমিটি কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশনকৃত অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণপত্র আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থাকবে শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ও প্রশাসনের সহযোগিতা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ একরামুল করিম, অ্যালামনাই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবের রহমান শামীম, এম এ হালিম, ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদ এর সদস্য সচিব কামরুল হাসান হারুন, যুগ্ম সদস্য সচিব এম ডি ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক দাউদ আব্দুল্লাহ লিটন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, সোহরাব হোসেন সোহেল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, হাফিজ আল আসাদ, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাইফুর রহমান শপথ, রেজোয়ান নূর সিদ্দিকী, রাশেদ আনোয়ার, মামুনুর রশীদ, শাহেদুল ইসলাম, আতিকুল্লাহ, মো. খোরশেদ আলী প্রমুখ।