গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামে গণশুনানিতে এসব অভিযোগ শুনানি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
দুদকের তথ্য মতে, যে ২২টি সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ৪৭টি অভিযোগের শুনানি করা হয়েছে সেসব সংস্থাগুলো হলো- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৬টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৫টি, বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ৪টি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৪টি, আগ্রাবাদ ভূমি অফিসের ৩টি, এলএ শাখার ৩টি, রেলওয়ের ২টি, বিআরটিএ’র ২টি, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ২টি, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ১টি, চট্টগ্রাম ওয়াসার ২টি, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রণের ২টি, কেজিডিসিএলের ১টি, খাদ্য অধিদপ্তরের ১টি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১টি, বিআরটিসির ১টি, বিটিসিএলের ১টি, যমুনা অয়েল কোম্পানির ১টি, সড়ক ও জনপথের ১টি, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ১টি ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের বিরুদ্ধে ১টি অভিযোগ রয়েছে।
এসময় গণশুনানিতে আসা সেবাপ্রার্থীগণ তাদের নানা ধরনের সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শুনে সমাধান করে দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠান নিয়মিত করার জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে গণশুনানিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে দুই পক্ষের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত প্রদান করেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। এসময় অভিযোগের ভিত্তিতে অনেক সংস্থাকে ২দিন, ৩ দিন, ৪ দিন ও আবার অনেক সংস্থাকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দেন। যদি বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সেবাগ্রহীতারা সেবা না পান তাহলে দুদক অফিসে পুনরায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তথ্য প্রমাণ ছাড়া ভুল তথ্য দিলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন দুদকের এ কর্মকর্তা।