চীন থেকে মিথ্যা ঘোষণায় দেশে আসছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর আমদানি নিষিদ্ধ ঘন চিনি। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। কর্মকর্তারা জানান, দেখতে একই রকম হওয়ায় সাইট্রিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সাইট্রেটের নামে ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) আমদানি করছে একাধিক চক্র।
বাংলাদেশ ফুড সেফটি অ্যাক্ট বাংলাদেশে সোডিয়াম সাইক্লামেট আমদানি, উৎপাদন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের এক কেজি ঘন চিনি ৪০ থেকে ৫০ কেজি সাধারণ চিনির সমান কাজ করে। দেশে এর কোনো উৎপাদন নেই। আসে চীন ও পাকিস্তান থেকে। কিছু চালান কাস্টমসে আটক হলেও অধিকাংশই কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে যায়।
কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বংশালের হৃদা ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি চীন থেকে এনকোডেড ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডার আমদানি করার ঘোষণা দিয়েছে যা প্লাস্টিক, রাবার, রঙ, কাগজ, ডিটারজেন্ট এবং ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কোম্পানিটি সোডিয়াম সাইক্ল্যামেটের একটি চালান আনলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখা বন্দরে তা শনাক্ত করে। আর রাসায়নিক পরীক্ষায় 20,000 কেজির চালানের মধ্যে 14,000 কেজি সোডিয়াম সাইক্ল্যামেট এবং বাকি 6,000 কেজি ক্যালসিয়াম কার্বনেট ছিল।
সেপ্টেম্বরে স্থানীয় আমদানিকারক অদ্রতা ব্রাদার্স এনকোডেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের নামে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ হাজার ৪৫০ কেজি সোডিয়াম সাইক্ল্যামেট নিয়ে আসে। জুন মাসে, এম/এস নিলয় এন্টারপ্রাইজ এবং এম/এস এশিয়া কর্পোরেশন যথাক্রমে সোডিয়াম সালফেট অ্যানহাইড্রেস এবং অ্যাসপার্টাম পাউডারের নামে আরও চালান কিনেছে।
এর আগে ১৮ মে ঢাকার বংশালের আরেক আমদানিকারক ডিএসএস এন্টারপ্রাইজ চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ টন সোডিয়াম সাইক্ল্যামেট আমদানি করে এবং চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকার সুজানা ট্রেডিং ডিসোডিয়াম কার্বনেট নামে আরেকটি চালান নিয়ে আসে। ধারাবাহিকভাবে এসব চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।