প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফরকালে বাংলাদেশের ৪টি প্রকল্প এবং বাজেট সহায়তা হিসেবে একটি কর্মসূচিতে ২২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা) অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক গত ২৯ এপ্রিল এতে সই করেন।
তবে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (১ মে) বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের উপস্থিতিতে এসব ঋণচুক্তি বিনিময় হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাঁচটি ঋণের মধ্যে ৪টি প্রকল্পে ১৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণ সম্পূর্ণ আইডিএ সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে বাজেট সহায়তার ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ১৭ কোটি ডলার আইডিএ সহায়তার মধ্যে থাকবে। বাকি ৩২ কোটি ৪০ লাখ ডলার স্বল্পমেয়াদি ঋণ, যা ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১২ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে ঋণের এ অংশে কোনও সার্ভিস চার্জ বা সুদ নেই।
ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) হলো কম সুদে নমনীয় ঋণ প্রদান বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, যার সবচেয়ে বড় গ্রাহক বাংলাদেশ। আইডিএ ঋণের সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সুদহার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। দুটি মিলিয়ে ২ শতাংশ হয়। অউত্তোলিত অর্থায়ন স্থিতির ওপর বছরে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বা কিস্তি অব্যাহতি ৫ বছর। আর পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে।
স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশ চার হাজার কোটি ডলারের বেশি আইডিএ ঋণ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের চলমান প্রকল্পগুলোতে আইডিএ তহবিল রয়েছে ১৬০০ কোটি ডলারের বেশি।