ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পাইকারি কাপড়ের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির ১১ তম দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২০২৬) নির্বাচন আগামী ১০ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় থাকায় মোট ২১টি পদের মধ্যে ১৯ পদে নির্বাচন হবে।

সভাপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান। গত নির্বাচনেও তিনি সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তবে এর আগে চার বার টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

একইভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবুল মনসুর। তিনি আগের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ও টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির তথ্যমতে, আসন্ন টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির ১১ তম দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২০২৬) নির্বাচনে গত ২৪ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মনোনয়ন পত্র সরবরাহ করেন প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকরা।

গত ২৫ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র দাখিল করার শেষ সময়, ২৬ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়। এই বারে ৪১জন মনোনয়ন পত্র সরবরাহ করেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে  কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মোট ২১টি পদের মধ্যে ১৯ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৪০টি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


  • আমি একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী হয়েও আমার ৯৫ শতাংশ ভোটার সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকার ব্যবসায়ী। আগামীতেও সকলকে সাথে নিয়ে টেরিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই- সভাপতি, আব্দুল মান্নান


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মফিজুল ইসলাম (রয়েল) বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আমেজ চলছে। কোন ধরনের বাধা নেই। এজন্য প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা সবধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। আশা করি একটি সুষ্ঠ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবসায়ী সমাজকে উপহার দিতে পারবো।

সভাপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত আব্দুল মান্নান বলেন, ১৯৯১ সালে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে আমি এবার সহ মোট ১০ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে চার বার এবং সহ সাধারণ সম্পাদক পদে দুই বার সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।

এই সময়ে অন্যয়ভাবে কোন ব্যবসায়ী কিংবা সমিতির মান ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ করেছি বলে আমার জানা নেই। এজন্য আমি একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী হয়েও আমার ৯৫ শতাংশ ভোটার সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকার ব্যবসায়ী। আগামীতেও সকলকে সাথে নিয়ে টেরিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত মো. আবুল মনসুর বলেন, সারা বাংলাদেশ এখন একটা সংস্কারের পথে আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি টেরিবাজার ব্যবসায়ী এলাকায় বিশাল সংস্কারের প্রয়োজন আছে।


  • টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমাজকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, প্রতিহিংসামুক্ত এবং সম্প্রদায়িতমুক্ত করার অঙ্গীকার করছি-সাধারণ সম্পাদক, আবুল মনসুর


বিগত দিনে আমি দেখেছি, এই টেরিবাজারে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে ব্যবসায়ী সমাজকে মুক্তিদানের জন্য নেতৃত্বের আমূল পরিবর্তন এবং সংস্তার অতীব প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমি বিগত দিনে তিনবার অর্থসম্পাদক ও একবার যুগ্ম সম্পাদক পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি যদি নির্বাচিত হই, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমাজকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, প্রতিহিংসামুক্ত এবং সম্প্রদায়িতমুক্ত করার অঙ্গীকার করছি।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজারে  ৮২টি শপিংমল এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০ দোকান আছে। বলা হয়, ঢাকার ইসলামপুরের পরে এটিই দেশের পাইকারি কাপড়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র। এখানে পাইকারি ও খুচরায় কাপড় কেনাকাটা চলে সারাবছর।