উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম দাবি করেছেন, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ এর বেশি। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের বাইরে থেকে স্থানীয়রা এখনও ইট-পাটকেল ছুড়ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসের ভেতর পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, এদিন সৈয়দপুর থেকে রাজশাহী আসছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্র। বাসে তার সঙ্গে সুপারভাইজার বাজে আচরণ করেন। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থী বাস সুপারভাইজারের বাজে আচরণের জেরে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।

এসময় বিনোদপুরের এক স্থানীয় বাকবিতণ্ডায় যুক্ত হন। ওই স্থানীয় ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন। এর সূত্র ধরে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়রা কয়েক দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তারা এসময় পেট্রোল বোমা ছোড়ে বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, স্থানীয়রা তুচ্ছ ঘটনায় প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তারা এর আগেও অনেকবার শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে। এই ঘটনা ওইসবের পুনরাবৃত্তি।

ক্ষুব্ধ জনতা বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দিয়েছেন। আগুন বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। পেট্রোলবোমাও নিক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পেট্রোলবোমা, ককটেল নিক্ষেপ করছে। সংঘর্ষ বন্ধ করতে প্রশাসন পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কি-না জিজ্ঞেস করলে দুই উপ-উপাচার্যই কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তারা বলেন, এসব নিয়ে কথা বলার সময় এখন নয়।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

নগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান রাতে সাড়ে ৮টার দিকে বলেন, ‘আমরা অ্যাকশনে যাচ্ছি।’ তবে রাত সোয়া ৯টার সময়ও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।