অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে অধিকাংশ বড় গরু। সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে ব্যাপারিরা না আসায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা। ফলে এবারও ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে গো-খামারিদের।
সরেজমিনে আবাদের হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশি ২ মণ বা আড়াই মণ ওজনের ছোট-ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে। খামারে পালন করা বড় জাতের ফ্রিজিয়ান গরু সাধারণত সিলেট অঞ্চলে বিক্রি হয়। সিলেট অঞ্চলের ব্যাপারীরা সাতক্ষীরার আবাদের হাট, পারুলিয়া হাটসহ অন্যান্য হাট থেকে বড় জাতের গরু কিনে নিয়ে যান। কিন্তু সিলেট অঞ্চলে বন্যা হওয়ায় বড় জাতের গরু কেনাবেচা নেই বললেই চলে।
গরু কিনতে আসা ইকবাল হোসেন লাভলু জানান, গতবার গরুর দাম ছিল ২০ হাজার টাকা মণ। আর এবার ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা মণ। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার কোরবানিও করতে হবে। তাই দেড়মণ ওজনের ছোট একটি দেশি গরু কিনেছি।
গরু ব্যবসায়ী বাহারুল ইসলাম জানান, খামার থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কিনে এনেছি। লাভ তো দূরের কথা, বড় গরু কেউ ছুঁয়েই দেখছে না। সিলেট অঞ্চল থেকে প্রত্যেক বছর প্রচুর ব্যাপারি আসতো বড় গরু কিনতে। কিন্তু এবার ওই অঞ্চলে বন্যা হওয়ায় কোনো ব্যাপারি আসেনি। তাই বড় গরুর ক্রেতা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ১৩টি পয়েন্ট (খাটাল) দিয়ে ভারত থেকে আসত হাজার-হাজার গরু। সাতক্ষীরা থেকে এসব ভারতীয় গরু দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হতো। বাংলাদেশে গরু রপ্তানিতে বিজেপি সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাতক্ষীরায় ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হয়ে গেছে।