‘অনরা ক্যান আছন? বেইয়াগগুন গম আছননি? অনরাল্লাই পেট পুরেদ্দে চাইতো আসসি’―চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এমন প্রাণের কথা শুনে ময়দানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা করতালিতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলে ওঠেন, ‘আঁরা ভালা আছি বলে’।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় তিনি নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানের ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আজ রবিবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি সমাবেশে এসে উপস্থিত হন। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বক্তব্য শুরু করে ৪টা ৩৪ মিনিটে বক্তব্য শেষ করেন।
‘বিএনপির দুটি গুণ আছে। একটি হলো ভোট চুরি, অপরটি মানুষ খুন’―এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় না গিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তিন হাজারের বেশি মানুষ তখন আহত হয়েছে। পাঁচ শর বেশি মানুষ মারা গেছে। অনেক গাড়িতে আগুন দিয়েছে তারা। ’
১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় তারিখ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর নাকি বিএনপি ঢাকা অচল করে দেবে। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের হত্যা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। এ কারণেই এই তারিখ বিএনপির এত প্রিয়।
সমাবেশ শুরুর আগেই সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে পলোগ্রাউন্ডে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ময়দান। ঢাক-ঢোল, বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে জনসভা মাঠে আসেন তারা। ময়দানের বাইরে আশপাশের সড়কগুলোতেও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।