চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিওএ) নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই মিটিংয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সারওয়ার হোসেন সাগর বহিরাগতদের নিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
স্বৈরাচারের দোসর এই চেয়ারম্যান প্রার্থী কার ইন্ধনে ও কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবসায়ী সংগঠনে এই জঘন্য অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির পাশাপাশি মনোনয়ন বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য ও প্রার্থীরা। এছাড়া তার মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন একাধিক প্রার্থীরা।
বন্দর ও বিএসবিওএ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারের দোসররা ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ী, বন্দর ব্যবহারকারী ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে জিম্মি করে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস্ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিওএ) কে তাদের অবৈধ অর্থ উপার্জন, অনিয়ম ও দুর্নীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে।
এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল ও তার সহযোগীরা। রাসেল আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২০১৬ সাল থেকে একটানা বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পদ দখলে করে আছেন। একই সঙ্গে তার সহযোগী জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, আসাদ খান, মোস্তাফিজুর রহমান, দস্তগীর, নাহিদ ও জানে আলম গং এবং তৎকালীন নৌ পরিবহনমন্ত্রী সহ বিগত সরকারের দলীয় নেতাদের নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনকে দলীয়করণ করেন।

যার জন্য গত ২১/০৮/২০২৪ তারিখ চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলায় (মামলা নং- ১৮/২০২৪) বিএসবিওএ’র চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান (রাসেল) ও কমিটির অন্যান্য সদস্যদেরকে আসামী করা হয়। এছাড়া কমিটির বেশিভাগ সদস্য নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলার আসামী বলে জানা গেছে। যা ঐতিহ্যবাহী এই ব্যবসায়ী সংগঠনের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। ইতিপূর্বে এই ধরনের ঘটনা বিরল।
এছাড়া ৫ আগস্টের পর থেকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় একদিনের জন্যও কার্যালয়ে আসেনি। গোপনে থেকে তারা পুনরায় অ্যাসোসিয়েশন দখলে নিতে বিতর্কিত স্বৈরাচারের দোসরকে দিয়ে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন ও তিন সদস্যের একটি আপিল বোর্ড গঠন করে সার্কুলেশন জারী করেন। পরবর্তীতে এ কমিশন একদিনের জন্যও অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আসেননি এবং তিনজনের দুজনকে সাধারণ সদস্যেদের কেউ চিনেনও না। আবার একটি আপীল বোর্ড গঠন করেছে তাদেরকে কেউ চিনেন না। এমনকি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততাও নেই। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপন থাকায় এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি
এদিকে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় নগরীর ডবলমুরিং থানায় সরওয়ার হোসেন (সাগর) সহ অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং- ১১৮৯) করেছে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী এএইচ এম মনজুর আলম।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৬ নভেম্বর বিকাল ২টায় বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিওএ) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিলো। উক্ত দিন আমার সাথে রফিকুল ইসলাম মমিন সহ আমার প্যানেলের লোকজন বিএসবিওএ এর প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখি সরওয়ার হোসেন (সাগর) বহিরাগত লোকজন অস্ত্র স্বশস্ত্র সহ বিএসসিওএ এর প্রধান কার্যালয়ে ভিতরে জড়ো হয়ে আছে। তার সাথে থাকা লোকজন বিএসবিওএ এর প্রধান কার্যালয়ের ভিতরে থাকা আমি সহ উপস্থিত লোকজনকে অস্ত্র স্বশস্ত্র দিয়ে হুমকি, ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাদের হুমকি, ধমকির ফলে বিএসবিওএ এর প্রধান কার্যালয়ের ভিতরে ভীর্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপরই ডবমুরিং থানার পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
একইভাবে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পার্থী সরওয়ার হোসেন সাগর কতৃক নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে প্রার্থীতা বাতিল সহ শান্তির দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দেন আরেক প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোমিন (সদস্য নং-২১) সহ একাধিক প্রার্থী।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৬ নভেম্বর বিএসবিওএ নির্বাচন প্রার্থীতা যাচাই বাচাই এর দিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরওয়ার হোসেন সাগর তার ক্ষমতার দাপট ও অন্যান্য প্রার্থীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে নির্বাচনীবিধি লংঘন করে প্রকাশ্যে দুইজন অস্ত্রধারীকে নিয়ে বিএসবিওএ এর অফিসে বিএসবিওএ এর সচিব তথা নির্বাচন কমিশন সচিব বাবু বিধান তালুকদারের পক্ষে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করে। যা নির্বাচন আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। বিএসবিওএ অতিতের সুনাম অক্ষুর্ণ রেখে নির্বাচনি আচরণ লংঘনকারী প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল সহ শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এদিকে গত ২২ নভেম্বর নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর গত ১৮ নভেম্বর বিএসবিওএ নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক অফিস আদেশ মূলে ঘোষিত অবৈধ মনোনয়ন এর বিরুদ্ধে রিভিউ/পুনঃবিবেচনা/আপিল দায়ের করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এএইচ এম মনজুর আলম, প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোমিন এবং পরিচালক প্রার্থী মো. মশিউল আলম স্বপন।
আপিলের দরখাস্তে বলা হয়, নির্বাচনী মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১২ নভেম্বরে মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা প্রদান করেন এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিস রিসিভ কপি আপিলকারী সহ অপরাপর মনোনয়ন জমাদানকারী ফার্মের বরাবরে জমা প্রদান করা হয়। নির্বাচন কমিশন অথবা BSBOA সচীব তথা নির্বাচন বোর্ড সচীব ওইদিন অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে মোট কয়টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান ও সচিবের সাথে ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে নির্বাচন কমিশন সচীব ৭টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে বলে অবহিত করেন। কিন্তু গত ১৮ নভেম্বর অফিস অর্ডার দেখাইয়া উল্লেখিত ১২ নভেম্বর মনোনয়ন জমাদানকারী ৭ টি ফার্মের সাথে অতিরিক্ত ১০ টি ফার্ম সংযোজন করে ১৭ টি ফার্মের বৈধ মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে গত ১৬ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবরে সুনির্দিষ্ট ৪ টি ফার্মের বিরুদ্ধে বিএসবিওএ নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক গত ২৫/০৯/২০২৫ ইং তারিখে প্রচারিত সার্কুলারের ১৩ নং দফা ও বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ২০২৫ এর ১৮(৪) বিধির সুস্পষ্ট লংঘন ও ১৭/১১/২০২৫ তারিখে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেইন এর বিরুদ্ধে মালিকানার বিষয়ে আপত্তি দাখিল করা হয়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন সাগর প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক নয় এবং গ্রিন এন্টারপ্রাইজের পক্ষে শামসুজ্জামান রাসেল (২০২৩-২৫), বর্তমান প্রার্থী- কামরুজ্জামান লিটন, এন. সি. এন ট্রেডার্সের পক্ষে জসিম উদ্দিন ভূইয়া, বর্তমান প্রার্থী আজিজুল হক, সি. এন্টারপ্রাইজের পক্ষে জানে আলম, বর্তমান প্রার্থী- মো. হরমুজ শাহ বেলাল এবং এন. এস. এ সার্ভিসেসের পক্ষে মো. দস্তগীর, বর্তমান প্রার্থী- মজিবুল বশরের ফার্ম ইতিপূর্বে পর পর ২ বার নির্বাহী কমিটির দায়িত্বে ছিলেন।

এ কারণে বিধি মোতাবেক উল্লেখিত ফার্ম এর পক্ষে বিএসবিওএ নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ এর বৈধ মনোনয়ন তালিকায় স্থান পাওয়ার আইনগত কোন সুযোগ নাই। তথাপিও নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক গত ১৮ নভেম্বর তারিখে উল্লেখিত ফার্মের নাম চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিতর্কিত নিবার্চন কমিশন।
অস্ত্রের মহড়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সারওয়ার হোসেন সাগর সাংবাদিকদের বলেন, আমার নিরাপত্তায় বৈধ লাইসেন্সধারী দুইজন দেহরক্ষী সঙ্গে ছিল। আমরা চাই একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। নির্বাচনে ভয়ের কিছু নেই। এখানে সবাই সবাইকে চিনে।
তিনি আরও বলেন, আমি শেয়ার হোল্ডার ডাইরেক্টর। আমি মালিক হোল্ড করছি। আর আমি যে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করছি, আমার একটা বোর্ড অব ডাইরেক্টরর্সের রেজুলেশন অনুযায়ী জমা দিয়েছি। আমরা ৮ জন মিলে বর্ণালীর মালিক। এরমধ্যে বোর্ডে আছেন ৪ জন। সবাই তো আর বোর্ডে থাকেন না।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এইচ এম মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের হত্যা মামলার আসামীদের যোগসাজশে নির্বাচনে গুরুতর অনিয়মের যেই আশঙ্কা করেছিলাম তা চেয়ারম্যান প্রার্থী সারওয়ার হোসেন সাগর বহিরাগতদের নিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বাস্তবে প্রমাণ করে দিলো। সাগর আমাদের অ্যাসোসিয়েশনকে কলংঙ্কিত করেছে। তার এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের রিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তার অবৈধ মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ক্ষোভের দানা বাঁধছে। এই কমিশন বিদায়ী কমিটির নেতারা তাদের নিজেদের নাম ভোটার তালিকা হতে প্রত্যাহার করে অন্য কর্মচারী বা ব্যক্তি বিশেষকে দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে যা বেআইনী ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। অদৃশ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার যে কথা প্রকাশ করেছে এতে আমরা শংকিত। এজন্য আমরা আশঙ্কা করছি, এ অদৃশ্য নির্বাচন কমিশন অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে না এসে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই না করে বিগত স্বৈরচারী সরকারের কায়দায় ডামি নির্বাচনে ১২ সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতার একটি নির্বাচন নাটক সাজাতে পারে।
পরিচালক প্রার্থী মশিউল আলম স্বপন বলেন, বন্দর ব্যবসা দখলে নিতে স্বৈরাচারের দোসররা মরিয়া হয়ে উঠেছে। ৫ আগস্টের পর দোসরদের একটি পক্ষের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি ও হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় আত্মগোপনে চলে গেলেও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আরেকটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আওয়ামী দোসররা গত ১৭ বছর ধরে অ্যাসোসিয়েশনকে দলীয়করণ করে বন্দর ব্যবসাকে যেভাবে নিজেদের কুক্ষিগত করে রেখেছিল, তা পুনরায় দখলে নিতে পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে বহিরাগতদের নিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী সরওয়ার হোসেন সাগর। তিনি কার ইন্ধনে, কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তদন্ত করে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাধারণ সদস্যদেরকে অবহিত করতে হবে। একইসঙ্গে হত্যা মামলার আসামীরা যাতে দেশের আমদানি রপ্তানী কার্যক্রমে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। তা না হলে ১৯৯৬ সালের মতো চট্টগ্রাম বন্দরকে অচল করে দিতে পারে এই স্বৈরাচারের দোসররা।
এসব বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
