 
						   
						  
                      দেশের স্বার্থে বন্দর নিয়ে প্রোপাগান্ডা না করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহবান জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম পোর্ট বাংলাদেশের পোর্ট। চট্টগ্রাম পোর্ট আমাদের সম্পত্তি। এটা আমাদের কাছেই থাকবে। যদি কেউ অন্যভাবে প্রোপাগান্ডা করে থাকে, আমি আশা করব দেশের স্বার্থে এ ধরনের প্রোপাগান্ডা যেন না করে। আমরা সামনের দিকে যেতে চাই। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই। আমরা পেছনে পড়ে থাকতে চাই না।
এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন।
উপদেষ্টা বলেন, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এর কার্যক্রম সমূহকে আরো বেশি দক্ষ ও কার্যকর করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে যে কনটেইনার লোড হচ্ছে তা সিঙ্গাপুর যাবে। ট্রান্সশিপমেন্ট হবে। সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ পোর্টই প্রাইভেটলি পরিচালনা হচ্ছে। আমাদের যদি ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে হয় তাহলে বাইরের টেকনোলজিস আনতে হবে। নিজেরা নিজেরা করছি। নিজেরা অনেক ইফিশিয়নটলি করছি। এ ইফিশিয়েন্সি বাড়ানোর আমাদের দরকার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করানো। একটা পোর্ট তখনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করবে যখন একটা আন্তর্জাতিক অপারেটর আসবে।
ইন্টেরিম পিরিয়ডের জন্য আমরা এনসিটি ড্রাইডককে দিয়েছি। যার সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনী (নেভি) রয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত আগের থেকে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা কিন্তু বড় ধরনের অগ্রগতি। আমি আশা করব, এটা যাতে ধরে রাখে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বন্দরের ট্যারিফ আলোচনা করে বাড়িয়েছি। এককভাবে মন্ত্রণালয় বাড়ায়নি। আন্তঃমন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মেইন পোর্টের ট্যারিফ দেখার পর দেখা গেছে এখনো এখানে ট্যারিফ অনেক কম। এমনকি মোংলা থেকেও কম। ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের ট্যারিফ আর বাড়ানো হয়নি। আপনি দেখেন ১৯৮৬ সালের এক টাকার মূল্য এখন কত হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
তিনি দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তাগণের পক্ষ থেকে পেশাদারিত্বের সাথে সেবা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
              
 
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                            